টসের আগে বার্বাডোজের পিচকে ব্যাটিংবান্ধব হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। টস জিতে সেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু উইকেটের আচরণ শুরুর দিকে কিছুটা রহস্যময় ছিল। টু-পেসড উইকেটে শুরুর দিকে সুবিধা করতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। তবে সময় যত গড়ায়, ব্যাটিং তত সহজ হয়ে যায়। সে সুযোগ নিয়ে সূর্যকুমার-হার্দিকরা ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন। তাদের বীরত্বে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮১ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ভারত।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরগতির হয় ভারতের। ফজলহক ফারুকির সুইং সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছিল দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির।
তৃতীয় ওভারে সেই ফারুকির বলেই ফিরতে হয় রোহিতকে। ফারুকির স্লোয়ার বুঝতে না পেরে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালান ভারতীয় অধিনায়ক। আফগান অধিনায়ক রশিদ মিড অনে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন। ১৩ বলে ৮ রান করেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় রোহিতকে।
তিনে নেমে ব্যাট চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিশাভ পান্ত। প্রথম ২ ওভারে মোটে ৮ রান তোলা ভারত যে পাওয়ার প্লে’তে শেষ পর্যন্ত ৪৭ রান তুলেছে, তার কৃতিত্ব পান্তের।
তবে অতি মারমুখী হয়ে খেলতে গিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ফিরতে হয় তাকে। রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে ফারুকির বলে একবার জীবনও পেয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ১১ বলে ৪ চারে ২০ রান।
শুধু পান্তর উইকেট শিকার করেই থামেননি রশিদ। কোহলির মূল্যবান উইকেটটিও ঝুলিতে পুরেছেন আফগান অধিনায়ক। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকা কোহলি রশিদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পেয়ে হাত খুলে ব্যাট চালিয়েছিলেন, কিন্তু লং অফে থাকা মোহাম্মদ নবীকে ফাঁকি দিতে পারেননি। ২৪ বলে সমান ২৪ রান করে সাজঘরের দিকে হাঁটতে হয় তাকেও।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ১০ ওভারের মধ্যে হারিয়ে বসায় ইনিংসের মধ্যভাগে ভারতের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। রশিদের ঘূর্ণির সামনে টিকতে পারেননি শিবম দুবেও। তাকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন রশিদ। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে দুবেকে সাজঘরের পথ চেনান আফগান অধিনায়ক। নিজের ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২৬ রান খরচায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন রশিদ।
৯০ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারতকে কিছুটা স্বস্তি দেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৬০ রানের ঝোড়ো জুটিতে ভারতকে লড়াকু পুঁজিড় পথে এগিয়ে দেন তারা। ১৭তম ওভারে ফারুকির বলে ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ফিফটি স্পর্শ করেন সূর্যকুমার। ২৮ বলে ৫ চার এবং ৩ ছক্কায় ৫৩ রান আসে তার ব্যাটে।
পরের ওভারে ফিরেছেন পান্ডিয়াও। ২৪ বলে ২ চার এবং ৩ ছক্কায় ৩২ রান করে নবীন-উল-হকের বল ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
রশিদের সমান তিন উইকেট পেয়েছেন আফগান পেসার ফারুকিও। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি।
আফগানিস্তানের সামনে এখন বুমরা-আর্শদীপদের আগুনে বোলিং সামলে ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ।
খুলনা গেজেট/কেডি