বাংলাদেশে রফতানির অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫টি ট্রাকে আগুন লেগে মালামাল ভস্মিভূত হয়েছে।
শনিবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুড়ে যাওয়া ৫টি ট্রাকের মধ্যে ছিল একটি ব্লিচিং পাউডারবাহী ট্রাক, ২টি কাগজের রোলবাহী ট্রাক ও একটি তুলার ট্রাক।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছে বন্দরের অন্যান্য মালামাল বোঝাই ট্রাক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রাতেই ফোন দিয়ে বন্দরের ব্লিচিংবাহী ট্রাকে আগুন লাগার কথা জানিয়েছেন। আগুনে ৫টি ট্রাকের মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব ট্রাক বাংলাদেশে রফতানি পণ্য নিয়ে আসার অপেক্ষায় পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়ণের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, ব্লিচিং পণ্যে বার বার অগ্নিকাণ্ড ঘটে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ২০ থেকে ২৫টি পণ্যবাহী ট্রাক পুড়বে। তবে দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বন্দর।
বন্দরের নিরাপত্তারক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত ব্লিচিং পাউডার বোঝাই ৫টি ট্রাক বন্দরের টিটিআই মাঠে আনলোডের অপেক্ষায় কয়েকদিন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রাকে পণ্য ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ছিল। এদিন রাতে একটি ট্রাকে আচমকা আগুন ধরে যায়। পরে পাশে থাকা আরো ৪টি ট্রাকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত গরমের কারণে হয়তো ব্লিচিং বোঝাই ট্রাকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, সাধারণত ব্লিচিং পাউডারে পানি লাগলে বা অতিরিক্ত গরমের কারণে আগুন ধরে যায়। পেট্রাপোলে ট্রাকগুলোতে আগুন ধরার পর ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনি বলা সম্ভব নয়। কি কারণে ভারতীয় ব্লিচিং বোঝাই ট্রাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত না করে এখনই বলা যাচ্ছে না।