খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় পণ্যবাহি ট্রাকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ, লাগাতার কর্মবিরতির হুশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পন্যবাহী ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মোঃ মিজানুর রহমান, শাহানুর ইসলাম শাহীন, রাইসুল ইসলাম টুকু, বিলকিস সুলতানা সাথী, রুখসানা পারভীন প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভারতের কিছু প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের সাথে যোগসাজস করে ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে আমদানীকৃত পন্যবাহি ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি করছে। যা প্রতি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার ফলে, বাংলাদেশী আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। যেজন্য ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য দেশে বেড়ে যাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরাও এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এর প্রভাবে সরকার রাজস্বও হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে ব্যবসায়িদের অভিমত। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছেনা বলে ব্যববসায়ি নেতারা অভিযোগ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দু’ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩০ জানুয়ারি তিনঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩১ জানুয়ারি চারঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন।

এরপর অবৈধ এই অর্থ আদায়ের ঘটনা যদি বন্ধ না হয় তাহলে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের হুশিয়ারি দেন, সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!