খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জাহাজে ৭ খুনে জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু
  মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

ভারতীয় ভিএইচ গ্রুপের প্রতারণায় পথে বসছে ৭০ প্রতিষ্ঠান

যশোর প্রতিনিধি

ভারতীয় ভিএইচ গ্রুপের উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডসের ‘প্রতারণায়’ পথে বসার উপক্রম হয়েছে দেশের প্রায় ৭০ টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের। বিগত ৪/৫ বছর ধরে তাদের পাওনা প্রায় ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। টাকা পরিশোধে কয়েকদফা সময় নিলেও দেয়া হয়নি একটি টাকাও। বরং এই কোম্পানিটি তাদের যশোরে থাকা দুটি কারখানার একটি ভাড়া এবং অপরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ২৪ টি প্রতিষ্ঠারনের মালিক সম্মিলিভাবে এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকার তুর কর্পোরেশনের মালিক পল্লব সমীর কুদরতে খোদা ব্রেজনেভ বলেন, এই কোম্পানিটি যশোরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে (২০১১ সাল) আমরা কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছি। মালামাল প্রদানের এক মাসের মধ্যে আমাদের বিল পেমেন্ট করার কথা। সেই অনুযায়ী আমরা দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান তাদের কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমাদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে তারা গড়িমসি করছে।

তিনি জানান, এই পাওনা আদায়ে তাদের সঙ্গে বহু দেন দরবার করা হয়েছে। বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কোম্পানি এই পাওনা পরিশোধে গত ১৫ মার্চ কিছু ছাড়ের বিনিময়ে শোধ করার অঙ্গীকার করে। কিন্তু তা করা হয়নি। এরপর জুন মাসে পরিশোধের সময় নেয়, কিন্তু তখনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।

আরেক প্রতিষ্ঠান সততা ট্রেডার্সের মালিক একেএম আসাদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের কাঁচামাল সয়াবিন, ভুট্টা, ফিস অয়েল, আটা, ময়দা ইত্যাদি সরবরাহ করেছি। আমি তাদের কাছে ছয় কোটি ৪১ লাখ টাকা পাবো। এখন ব্যাংকসহ বিভিন্ন পাওনাদারের কারণে বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। আমরা ওই টাকার জন্যে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অথচ, ভিএইচ গ্রুপ বিশ্বের প্রায় ৪৪টি দেশে এই ফিডের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএস অ্যাগ্রোর আশরাফুল আলম, পিকে এন্টারপ্রাইজের দিপারানি নাথ, ইয়ন গ্রুপের ফরিদুজ্জামান, ইনোভেট বিডির কাজল দত্ত প্রমুখ।

এদিকে, টাকা বকেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উত্তরা ফুডস অ্যান্ড ফিডসের অডিটর সন্দীপ তাভানি বলেন, গত মার্চ মাসে তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি দেরি হয়ে গেছে। মালিকপক্ষ অবশ্যই টাকা পরিশোধ করবেন।

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ভিএইচ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদন করে বাজারজাত করে।

খুলনা গেজেট/এমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!