বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার প্রস্তাবকে গ্রহণ করেনি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। এ ধরনের ট্রানজিট সংযোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা দুর্বল হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
গত ১ ডিসেম্বর বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ বিষয়টি জানানো হয়৷
গত বছর ভারতী এয়ারটেলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের জন্য সামিট কমিউনিকেশনস এবং ফাইবার অ্যাট হোম আবেদন করলে বিটিআরসি এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায়। এর আগে, ভারতী এয়ারটেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদনে আখাউড়া হয়ে আগরতলাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও কুয়াকাটার সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট হিসাবে কাজ করবে। এতে করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের জন্য দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হবে।
বিটিআরসির নথিতে বলা হয়েছে, ট্রানজিট সংযোগ স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা হলে তা সিডিএন নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারসমূহ যেমনঃ মেটা, গুগল, আকামাই, আমাজন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশে তাদের এজ পিওপি/এজ ডেটা সেন্টার স্থাপনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করবে। এ ধরণের সংযোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা দুর্বল হবে। ভবিষ্যতে সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এ ধরণের সংযোগের অনুমতি প্রদান করা হলে তা উক্ত ক্যাপাসিটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে ব্যান্ডউইথ রফতানির সুযোগকে ব্যাহত করবে।’
এ সব কারণে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার প্রস্তাবকে বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় বিটিআরসি।
খুলনা গেজেট/ টিএ