চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকা থেকে রেশমা খাতুন (২৬) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে পৌরসভাধীন গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রেশমা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের রথখোলা পাড়ার সাইদুর রহমানের মেয়ে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের সৌদি প্রবাসী শিমুল হোসেন স্ত্রী। রেশমা খাতুন মেয়ে নিয়ে গোবিন্দপুর এলাকার মোল্লা বাড়ী নামের ওই বাসার পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকতেন।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত সাহা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেশমা তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ছয় মাস যাবত গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেয়ে স্কুলে যায়। পৌনে ২টার দিকে পাশের ভাড়াটিয়া মৌসুমী খাতুন রেশমা খাতুনের ফ্রিজে রাখা তরকারি নিতে যান। অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে জানান তিনি। পরে একজন বেলকোনির ভাঙা গ্রিল দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় রেশমাকে দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/এএজে