বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে নতুন করে ভাঙ্গনের মুখে পানগুছি নদী । ২০ গ্রাম প্লাবিত কাঁচা পাকা রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে হুমকির মুখে ভেড়িবাঁধসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপকূলীয় অ ল উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় গত দুই দিন ধরে টানা বর্ষণ ও সাগরের সৃষ্ট প্রভাবে নদীর তীরবর্তী বারইখালী, ফেরীঘাট এলাকা কাশ্মীর উত্তর বারইখালী, বহরবুনিয়া, ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের নতুন করে আধা কিলোমিটার রাস্তা ধসে গেছে।
হোগলাবুনিয়ার বদনীভাঙ্গা, সানকিভাঙ্গা, পাঠামারা, খাউলিয়া বাজারের ব্রীজসহ হুমকির মুখে অম্বিকা চরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বদনীভাঙ্গা আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮০নং বি পাঠামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরবুনিয়ার এসবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও পঞ্চকরনের দেবরাজের পানিউন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১২শ’ মিটার অস্থায়ী ভেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর পাড়ের ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে দুপুরের রান্না বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পরিবারের। শত শত পরিবার রয়েছে আতংকে। পৌর শহরের কাপুড়িয়া পট্ট্রির কাঁচা বাজার কলেজ রোড, কেজি স্কুল সডক, উপজেলা প্রশাসনিক চত্বর পানিতে তলিয়ে গিয়ে শহরের দোকানিদের ক্রয়-বিক্রয় দিনে ৩ ঘন্ট বন্ধ ছিলো। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা, বারইখালীর চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল খান মহারাজ, হোগলাবুনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরামুজ্জামান, বহরবুনিয়ার চেয়ারম্যান রিপন হোসেন তালুকদার বলেন, গত দুই দিনের পানির চাপে নদীর তীরবর্তী তাদের ইউনিয়নগুলো অনেক কাঁচা পাকা রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। ৫ শতাধিক মৎস্য ঘেরে তলিয়ে ঘেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সৃষ্ট লঘুচাপে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগন অবহিত করেছেন। বিষয়টি সরেজমিনে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।