বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যা করতে ২৫ লাখ রুপির চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত ১৪ এপ্রিল আই অভিনেতার বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তি এসে গুলি চালিয়ে যান। সেই মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে নতুন চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে সালমান খানকে হত্যার হুমকি ও বাড়িতে হামলার বিষয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ওই হামলার পর থেকে ধীরে ধীরে নতুন করে প্রকাশ্যে আসতে থাকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নেতৃত্বে সালমান খান হত্যার পরিকল্পনার নাড়ি-নক্ষত্র। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তরা সবাই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সালমান খানকে হত্যার জন্য বিষ্ণোই গ্যাং অভিযুক্তদের ২৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়। পুলিশের দাবি, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাকিস্তান থেকে এই গ্যাং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এনেছে এবং আরও আনার প্ল্যানও করেছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭, একে-৯২, এম-১৬ রাইফেল, তুরস্কের বিখ্যাত জিগানা পিস্তলের মতো অস্ত্র রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ষড়যন্ত্র কেবল অস্ত্র আনা নিয়ে হয়নি, রীতিমতো নজরদারি চালানো হয়েছিল বলিউডে ভাইজান খ্যাত এই অভিনেতার ওপর। সালমান খানের চলাফেরার ওপর নজর রাখতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সালমানের মুম্বাইয়ের পানভেলের ফার্মহাউজ থেকে শুরু করে গুরুগ্রামের ফিল্ম সিটি, বা তিনি যেখানে যেখানে নিয়মিত শ্যুটিংয়ে যেতেন সেসব জায়গায় অভিনেতাকে অনুসরণ করত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লোকজন।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, সালমানকে খুন করতে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তারা কানাডার গোল্ডি ব্রার ও আনমোল বিষ্ণোইয়ের থেকে সালমানকে হত্যার হুকুমের অপেক্ষায় দিন গুনত।
পুলিশ বলছে, ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট তালিকায় রয়েছেন সালমান খান। ওই বছরই একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ে গিয়ে তিনি রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন। আর এই বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতা রূপে পূজা করে। এরপর থেকেই সালমান খানকে হত্যা করতে চাইছে বিষ্ণোই গ্যাং।
খুলনা গেজেট/এএজে