খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন; নিহত ১, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট
  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

ভর্তি কমিটির সভা ডেকে দ্রুত পরীক্ষা শুরুর দাবি ইবি শিক্ষক সমিতির

ইবি প্রতিনিধি

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। আগামী ৪ঠা এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা আহ্বানের জন্য ভিসির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে। ওটা পরিবর্তন হয়নি। ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা আহ্বান করে দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার জন্য ভিসি স্যারকে অনুরোধ জানিয়েছি। আগামীকালকে চিঠি পাঠানো হবে। এর আগে ঢাকা থেকে এসে ভিসি স্যার ইউজিসি’র বিষয়টা জানিয়েছিল। তবে আমরা বলেছি, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা যাবো না।”

এদিকে গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ইবির ১২৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে গুচ্ছে না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সভায় কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা, পহেলা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করা, আবেদনের জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ভর্তি পরীক্ষার পর শুধু ভর্তি হওয়ার জন্যই ক্যাম্পাসে আসবে এবং বাকী কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায় গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার দাবি জানান তারা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে ভিসিকে জানানো হয়। পরে গত ১৫ মার্চ আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থীদের গ্রীন ফোরামের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় শিক্ষক সংগঠনগুলো গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।

পরে গত ২০ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ইবির শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত ও শিক্ষক সমিতি বিষয়টি ইউজিসির কাছে তুলে ধরেন। তবে যারা ইতোপূর্বে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিল সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনোক্রমেই বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জানায় ইউজিসি।

খুলনা গেজেট /এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!