যশোর, নড়াইল ও সাতক্ষীরার উৎপাদিত সব ধরণের আমের সরবরাহ কমে এসেছে। রাজশাহীর ল্যাংড়া ও হিমসাগর আসতে শুরু করেছে সপ্তাহখানেক ধরে। খুলনার পাইকারি আড়তে প্রতিদিন গড়ে দু’লাখ মণ আম আসছে। ক্রেতা নেই আশানুরূপ। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মন্দাভাব চলছে। গত বছর এ সময় ছিল জমজমাট বাজার।
বৈশাখের শেষ দিক থেকে যশোর, নড়াইল ও সাতক্ষীরা উৎপাদিত আম খুলনার পাইকারি মোকামে আসতে শুরু করে। এ সব জেলার আম সরবরাহ কমে এসেছে। রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম্রপলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, তোতারেকি ও লক্ষ্ণা জাতের আমের মৌ মৌ গন্ধে বাজার ভরে ওঠেছে। গত বছর এ সময় আমের আমদানি ও ক্রেতা ছিল অনেক বেশী। বৈশাখ থেকে আষাঢ় পর্যন্ত প্রায় ৩০ কোটি টাকার আম বিকিকিনি হয়। গেল বছর প্রতিমণ ল্যাংড়া ১৬ শ’ টাকা বিক্রি হলেও এবারে বিক্রি হচ্ছে ১২ শ’ টাকা দরে। শনিবার আম্রপলি ১১ শ’ থেকে ১২ শ’ টাকা, হিমসাগর ১২ শ’ থেকে ১৪ শ’ টাকা, তোতারেকি ৮’শ টাকা ও লক্ষ্ণা ৬’শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা আশাবাদী মঙ্গলবার নাগাদ রাজশাহীর হিমসাগর আসতে শুরু করবে।
নগরীর কদমতলাস্থ সাথী বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বিকিকিনি কমেছে। নগরীর বাইরের কোন ক্রেতা আসছে না। শহরে ভ্যানযোগে বিক্রেতারা দু’ দশ কেজি কিনছে। রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ ট্রাকযোগে দু’লাখ কেজি আম আসছে। আমদানির তুলনায় সে পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে না।
তন্ময় ট্রেডার্সের মালিক মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের মালিক অশোক কুমার ঘোষ জানান, পাইকারি বাজারে ক্রেতার পরিমাণ যৎসামান্য। গেল মৌসুমের তুলনায় এবারে দাম কম। গেল বছর পাইকারি বাজারে হিমসাগর ১৬ শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবারে তার মূল্য ১২শ’ থেকে ১৪ শ’ টাকা।
শনিবার বড় বাজার মোড়, ক্লে রোড, শান্তিধাম, ময়লাপোতা, নিউমার্কেট, নতুন বাজার, রূপসা সান্ধ্য বাজার ও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ভ্যানে আম বিক্রেতাদের মন্দাভাবের বর্ণনা পাওয়া যায়। রাতে শান্তিধাম ও সাতরাস্তা মোড়ে হিমসাগর খুচরা কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি