যশোরের ভবদহ অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে পানিবন্দি মানুষকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবদহ সমস্যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আখের গোছানোর অভিযোগ করা হচ্ছে, দৃশ্যমান সমাধানের জন্য কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের এখন শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রীর সরেজমিন পরিদর্শন ও পদক্ষেপ।
সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভবদহ দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষের প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারো প্রতি আস্থা নেই। তাকে সরাসরি ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করার অনুরোধ জানিয়ে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, টিআরএম বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খালসহ অন্যান্য খাল সংস্কার ও প্রশস্তকরণ, সকল খাল-বিল অবৈধ দখলমুক্ত করা, ভবদহ এলাকায় বর্তমান রোগব্যাধী দূর করতে তিন উপজেলায় তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা, চিকিৎসা কেন্দ্র চালু ও বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবারহ করা এবং সাপের উৎপাত থেকে মানুষ ও প্রাণিকূলকে বাঁচাতে ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড সরবারহ করা।
তিনি আরো বলেন, ভবদহের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে পানিবন্দি মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়েছে। পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ মানবতের জীবনযাপন করছে। অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায় প্রায় ৮০টি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত। এসব গ্রামের সব রাস্তা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারছে না। এ অঞ্চলের কৃষকের হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার রায়, সহ-সভাপতি ফরাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান, অভয়নগর উপজেলা শাখা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুনীল ঘোষ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই