গত ছয়দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উর্ধমুখী। যা শুধু দেশে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একই ধারা লক্ষণীয়। বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওমিক্রন ও ডেল্টার প্রভাবে সংক্রমণ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে সারা বিশ্বে পাঁচ দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা (২৪ ঘন্টায়) চার লাখ থেকে বেড়ে ১৮ লাখে পৌছেছে। এ অবস্থায় দেশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর বারবার গুরুত্বারোপ করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ঠ অভাব দেখা যাচ্ছে।
দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ দিনের ব্যবধানে (২৪ ঘন্টায়) আক্রান্তের সংখ্যা ২শ’ ৬৮ থেকে ৫শ’ ১২ তে উন্নীত হয়েছে। এ সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। বাংলাদেশও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সংক্রমণের মাত্রা ঠেকাতে দেশব্যাপী ঘোষণা করা হয় একের পর এক লকডাউন। সবকিছু অচল হয়ে পড়ে। মারা গেছেও অনেকেই। করোনা ভাইরাসে গত দেড় বছর বাংলাদেশে যে তান্ডব চালিয়েছে তা অনেকে ভুলেও গেছে।
২০২০ সালের ৭ মে খুলনা জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী খুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে আনা হলেও মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। অনেকে মাস্ক না পরে খালি মুখে বাইরে বের হচ্ছে। এটা যে কত ভয়ানক তা তারা উপলব্ধি করতে পারছে না। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও আমরা শঙ্কামুক্ত নই।
এর আগেও জেলা প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে জনসাধারণের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জরিমানার বিধান চালুর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সেখানে। সংক্রমণ শুরু হলে থামানো কঠিন হয়ে যাবে বলে সভায় জানানো হয়।