কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে মামুন সরকার (৫০) নামে ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামুন সরদার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুন সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামে আসাদুল সরদারের স্ত্রী সাথীর সঙ্গে আসামি মামুন সরদারের স্ত্রী সাফিয়া খাতুনের পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া হয়। এ সময় আসাদুল মাঠে ছিলেন। মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে ঝগড়ার কথা শোনেন। দুপুর আড়াইটার দিকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আসাদুল তার ছোট ভাই মামুন সরদারের বাড়িতে যান। এ সময় মামুন সরদার হাঁসুয়া দিয়ে বড় ভাই আসাদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত আসাদুলের স্ত্রী সাথী খাতুন বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি মামলা করেন। আসামি মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএম কাফরুজ্জামান ও শরীফ মনজুর।
১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১২ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মামুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।