খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ’ থেকে বাঁচতে ৩ ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

চিতলমারী প্রতিনিধি

স্বামীর মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য নিলীমা হালদার ধার নিয়েছিলেন ৮ হাজার টাকা। পাওনাদার সুবর শেখকে বিনিময়ে পরিশোধ করেন ২০ হাজার টাকা। স্বামীর মৃত্যুর পর সবুর শেখ অসহায় নিলীমাকে আরও লোন দেওয়ার প্রলোভনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে বলেন। নিলীমাকে নিয়ে সবুর ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে চেকবইয়ের দুটি খালি পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে পাতা ছিঁড়ে নেন। পরে নিলীমাকে নোটিশ পাঠিয়ে দাবি করেন, তার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পান!

এলাকায় সুদ কারবারি হিসেবে পরিচিত সবুর শেখ নিলীমার মতো অসংখ্য নিরক্ষর কিংবা স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে এমন ফাঁদে ফেলেছেন বলে অভিযোগ আছে। একজন ইতিমধ্যে আত্মহত্যাও করেছেন বলে রয়েছে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে (সবুজ সংঘ ক্লাবের হলরুমে) সংবাদ সম্মেলন করেন নিলীমাসহ তিন ভুক্তভোগী। বাকি দুজন শ্রীকান্ত মজুমদার এবং কার্তিক মজুমদার।

লিখিত বক্তব্যে শ্রীকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমি সবুর শেখের থেকে ৩০ হাজার টাকা সুদ নিয়েছিলাম। বিনিময়ে তাকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সবুর আমার থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়েছিল। আমি আইন-কানুন না জানায় চেকে সই করি। এখন আমার নামে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মামলা করেছে। আমি ১৫ দিন জেলও খেটেছি।’’

তিনি বলেন, সবুর শেখ এভাবে মামলা করতে গোপালগঞ্জে বসবাস করা এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে থাকেন। কখনো তিনি নিজে বাদি হন, কখনো ওই আত্মীয়কে বাদি করান।সবুর শেখের কারেন্ট সুদের খপ্পরে পড়ে আমার এলাকার একজন আত্মহত্যা করেছে। অনেকে দেশ ছেড়েছে, কয়েকজন নিঃস্ব হয়ে পথে পথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভয়ে আছি। কারণ তাঁর শক্তিশালী আদায়কারী বাহিনী ও মামলবাজ চক্র রয়েছে।

উপজেলার শিবপুর গ্রামের লাল বিহারী মজুমদারের ছেলে কার্তিক মজুমদার বলেন, ‘আমি একই উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ফহম উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুর শেখের কাছ থেকে ভাইপোর বিদেশে যাওয়ার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। এ টাকার সুদ হিসাবে তাকে আমি এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা পরিশোধ করি। এ টাকা নিয়েও সে খ্যান্ত হয়নি। সে আমার দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মামলা দায়ের করেছে।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুর শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘টাকা পাওনা না থাকলে কি কেউ চেক দেয়? আপনারা আপনাদের কাজ করেন, তারা তাদের কাজ করুক। আমি আমার কাজ করব।’’

সবাই টাকা পরিশোধের পরও কেন মামলা করলেন-এমন প্রশ্ন করার আগেই কথা না বলে ফোন কেটে দেন সবুর শেখ।

খুলনা গেজেট/ টিএ

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!