খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ মাঘ, ১৪৩১ | ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতি বিচার বিভাগের কালো দাগ: হাইকোর্ট

গেজেট ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতি বিচার বিভাগে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের তিন আইনজীবীর উপস্থিতিতে এমন মন্তব্য করে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, অবস্থা এমন চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের নিষিদ্ধসহ কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে আদালত।

এসময় তিন আইনজীবীর পক্ষে ফের সময় চাওয়া হলে হাইকোর্ট বলে, বারের সভাপতি হোক আর সাধারণ আইনজীবী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বার কাউন্সিল যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তবে হাইকোর্টে তাদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হবে।

এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি হাইকোর্টকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা কোর্টে ফিরেছেন। তবে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, জবাব দিলে দেবেন, না দিলে আমরা আমাদের মত আদেশ দেবো। কারণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করেছে আইনজীবীরা তা চলতে পারে না।

পরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ৮ টি ফেসবুক ও ৫ টি ইউটিউব ভিডিও সরানো হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বিটিআরসি।

গত ১৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আদালত ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।’

খুলনা গেজেট/ বি এম এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!