জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে দিনের একমাত্র ম্যাচটি অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) জেলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শক্তিশালী ইয়ং রেডসান ক্লাব।
খেলাটি ৩-৩ গোলে অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়। এদিন উভয় দলের ছিল শেষ খেলা। ৬ খেলায় ৩ জয়, ২ পরাজয় ও ১ ড্র করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে রেডসান।
পক্ষান্তরে ব্রাদার্স সমান সংখ্যক ম্যাচে ১ জয়, ৪ পরাজয় ও ১ ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে রেডসান খেলা শুরু করে। চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে ব্রাদার্সের আক্রমণের গতি থাকে বেশী। কারণ এ ম্যাচ থেকে তাদের একটি পয়েন্ট পেতে হবে। না হলে প্রথম বিভাগে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষে খেলার মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় ব্রাদার্সের ৮নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সুজন গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)।
গোল হজম করে সমতার আশায় আক্রমণ শুরু করে রেডসান। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ২৭ মিনিটের সময় কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ব্রাদার্সের ৭নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রহমান গোল করে দলের স্কোর (২-০) করেন। পিছিয়ে পড়ে বিরতীতে যায় রেডসান। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ৫৭ মিনিটের সময় ব্রাদার্সের ১১নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় শাহিন বামপ্রান্ত থেকে বল গোলবারে চিপ করলে তা সরাসরি জালে প্রবেশ করে (৩-০)।
৩ গোলে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত ভেবে খেলতে থাকে ব্রাদার্স। এসময় গোল পরিশোধের আশায় মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে রেডসান। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে ব্রাদার্স। সে সুযোগে ৬৭ মিনিটের সময় রেডসানের ১১নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় ওমর একটি গোল পরিশোধ করে (৩-১)। একটি গোল পেয়ে ক্ষিপ্রতা বেড়ে যায় রেডসানের। গোল ব্যবধান কমানোর আশায় আক্রমণ শুরু করে রেডসান। ফলও পায় তারা। ৭১ মিনিটের সময় ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় কামরুল গোল করে খেলা (৩-২) পরিণত করেন।
এরপর জয়ের আশায় আক্রমণাত্বক খেলা শুরু করে রেডসান। ৭৭ মিনিটের সময় ১৬নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রতন গোল করে খেলায় সমতা আনে (৩-৩)। ফলে উভয় দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী পার্থ প্রতীম মন্ডল, তকদিও হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও কামরুল আযম বাবু। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন নৃপেন রায় চৌধুরী । খেলাটির মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্য ছিলেন এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী ও এ্যাড. প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ২১ আগস্ট রবিবার জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্র বনাম মহেশ্বপাশা ক্লাব। বিকেল সোয়া ৪টায় দ্বিতীয় খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ ও দিঘলিয়া ওয়াইএমএ।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি