২০ বছর ধরে নকআউট পর্বে ইউরোপীয়ান কোনও দেশকে হারাতে না পারার শঙ্কাই যেন প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে ধরে বসেছিল। না হলে যে ব্রাজিল শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩৬ মিনিটেই ৪ গোল দিয়ে দেয় সেই ব্রাজিলকে এদিন দেখা যায়নি। অথচ, দু’দলই গোলের অনেক সুযোগ পেয়েছিলো।
ক্রোয়েশিয়া নিজেদের অর্ধে ডিফেন্স করেছে সুযোগ পেলে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়েছে। দুই একটি গোলের সুযোগও করেছিল। ক্রোয়েশিয়া রক্ষণাত্মক খেলায় তাদের অর্ধে ব্রাজিল খেলেছে বেশি। এতে মাঝে মধ্যে বক্সের আশেপাশে ফাউলও হয়েছে। সেই ফাউল থেকে নেইমরাররা গোল আদায় করতে পারেননি।
দ্রুত গতির কাউন্টার অ্যাটাকে ক্রোয়েশিয়ানদের ঠেকাতে গিয়ে ব্রাজিলও ফাউল করেছে। ক্রোয়াট অধিনায়ক মদ্রিচের নেয়া বক্সের একটু বাইরে থেকে নেয়া শট অবশ্য ব্রাজিল শিবিরে ভীতির সঞ্চার করতে পারেনি। প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে হলুদ কার্ড দেখেছে যদিও ইনজুরি সময় দেয়া হয় মাত্র ১ মিনিট।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই গোলের দারুণ সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে ডান পাশ থেকে জুরানোভিচ বল এগিয়ে দিলে ছোট বক্সের ভেতর দিয়ে বল যাওয়ার সময় তাতে পা লাগানোর চেষ্টা করেন প্যালাসিচ এবং পেরিসিচ। কিন্তু কেউ বলে পা লাগাতে পারেননি। গোলও হয়নি। বেঁচে যায় ব্রাজিল।
২০ মিনিটে বল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন ভিনিসিয়াস। নেইমারের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান করে বল নিয়ে শট করেন ক্রোয়েশিয়ার জালে। কিন্তু ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে যায়। ফিরতি বলে আবারও নেইমার তিন-চারজনকে কাটিয়ে শট নেন। যদিও ছিল দুর্বল শট। গোলরক্ষকের কাছে বল।
২২ মিনিটে ক্যাসেমিরোর দুর্দান্ত শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা হয়। ৪০ মিনিটে বক্সের বাম পাশে রিচার্লিসনকে ফাউল করা হলে ফ্রি-কিক দেয়া হয়। কিক নেন নেইমার। অসাধারণ এক কিক নেন নেইমার। কিন্তু বল ধরে ফেলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক।
ব্রাজিল স্কোয়াড
অ্যালিসন (গোলরক্ষক), এডার মিলিতাও, থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, দানিলো, ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুয়েতা, নেইমার জুনিয়র, রাফিনহা, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
ক্রোয়েশিয়া স্কোয়াড
ডমিনিক লিভাকোভিচ (গোলরক্ষক), জোসিপ জুরানোভিচ, ডিজান লভরেন, জোসকো জিভারদিওল, বোর্না সোসা, মাতেও কোভাচিক, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, লুকা মডরিচ, আন্দ্রেজ ক্রামারিচ, মারিও পাসালিক, ইভান পেরিসিচ।