নেইমার-ভিনিসিয়াস-জেসুসদের নিয়ে গড়া ব্রাজিলের আক্রমণভাগ কার্যত নিখুঁতই। তবে এবারের বিশ্বকাপের ফেভারিটদের ‘অ্যাকিলিস হিল’ ধরা হচ্ছে দলটির রক্ষণভাগকে। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে দলটির দুই ফুলব্যাক পজিশন ব্রাজিল কোচ তিতের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়েই আসতে পারে এবারের বিশ্বকাপে। বিগতযৌবনা আলভেস, কিংবা ফর্ম হারিয়ে খোঁজা সান্দ্রো, দানিলো, অ্যালেক্স তেলেসদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিশ্বকাপে ডাকতে হয়েছে দলটিকে।
যা-ও চারজন ফুলব্যাক নিয়ে কাতারে পা রেখেছে ব্রাজিল, তাদেরও একজন আবার এখন পড়ে গেছেন চোটের কাটায়। বুধবার দলটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন সেশনে ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেলেস চোট পেয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেসও পেয়েছেন চোট। সতীর্থ রদ্রিগো গোয়েজ মাড়িয়ে দিয়েছেন তার পা। যে কারণে খোঁড়াতে খোঁড়াতে অনুশীলন মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। পরে অবশ্য তিনি ফিরেছেন অনুশীলনে, কিন্তু শেষমেশ তাকে সেখানে খোঁড়াতেই দেখা গেছে।
তেলেসের চোটের কারণ নেইমার। পেছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন তাকে। সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল দল ছুটে আসেন তার কাছে। অনুশীলন ম্যাচ চলছিল তখন, কোচ তিতের আদেশে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হয় ম্যাচটি। তেলেসকে এরপর বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাজিলের টেকনিক্যাল স্টাফের সিদ্ধান্তে দুই দিন খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হয়। সোম আর মঙ্গলবার অনুশীলন হয়েছে হালকা মেজাজে। এরপর গত বুধবার শুরু হয়েছে অনুশীলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ২৬ জন খেলোয়াড়ই।
‘অজানা’ চোট নিয়ে আগের দিন অনুশীলনে আসেননি মারকিনিয়োস। তাকেও দেখা গেছে বুধবার। গতকাল তিনি সেখানে যোগ দিয়েছেন অনুশীলনের দ্বিতীয় ভাগে।
বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল অবশ্য কোনো প্রীতি ম্যাচ খেলছে না। কোচ তিতে ম্যাচের চেয়ে অনুশীলনেই মনোযোগ দিচ্ছেন বেশি।
বর্তমানে তুরিনে জুভেন্তাসের মাঠে চলছে ব্রাজিলের অনুশীলন। চলবে আরও এক দিন। আগামীকাল শুক্রবার অনুশীলন সেশন শেষে দোহার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে সেলেসাওরা।
বিশ্বকাপ ২০ নভেম্বর শুরু হলেও ব্রাজিলের হেক্সা মিশন শুরু হবে আগামী শুক্রবার। ২৫ নভেম্বর রাত ১টায় সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে দলটি।