ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি মানেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, চিরবৈরী-এসব উপমা এসে হাজির জয়। দুই দলের সমর্থকদের মনোভাবও থাকে যুযুধান অবস্থায়। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট যেন কিছুটা ভিন্ন। ব্রাজিলেরই কিছু মানুষ কী-না কোপা আমেরিকার ফাইনালে সমর্থন করছেন আর্জেন্টিনাকে! বিস্ময়কর ব্যাপারটি ভাবতেই পারছেন না চিয়াগো সিলভা। পুরো বিষয় অবিশ্বাস্য ঠেকছে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের কাছে।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। মুকুট ধরে রাখার মিশনে নামবে ব্রাজিল। ১৯৯৩ সালের পর এ শিরোপা ফিরে পেতে লড়বে আর্জেন্টিনা।
এই মহারণ ঘিরে আছে আরেকটি আলোচনাও। সেটি আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে নিয়ে। বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে মুঠোভরে সাফল্য পাওয়া এই ফরোয়ার্ডের জাতীয় দলের হয়ে প্রাপ্তির খাতা শূন্য। তার হাতে এবার কোপা আমেরিকার শিরোপা দেখতে চান ফুটবলপ্রেমীদের অনেকে। তাদের মধ্যে ব্রাজিলিয়ানদের উপস্থিতি মানতে পারছেন না সিলভা।
“দুই দলের দ্বৈরথ খুবই দারুণ একটা বিষয় এবং আমরা জানি, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের রক্তে বইছে। একারণেই বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্ষুব্ধ; আমরা বুঝতে পারছি না, কীভাবে মানুষ ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করতে পারে।”
“ফ্রান্স বা অন্য কোনো টুর্নামেন্টে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচ হলে, তারা আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানদের আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করাটা আমাদের কাছে অচিন্তনীয়। কেননা, জন্মের পর থেকেই ওদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে।”
ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ দলের তারকা মেসিকে ব্রাজিল কোচ তিতে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। সে পথে হাঁটেননি অধিনায়ক সিলভা। বরং খোঁচাই দিয়েছেন মেসিকে।
“প্রশংসাকে একপাশে রাখতে হবে। সে সবসময় রেফারিকে ফাউল বা বিপজ্জনক থ্রোয়ের পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। সে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং রেফারির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে চায়।”
মারাকানার ফাইনালে কাউকেই এগিয়ে রাখছেন না সিলভা। ৩৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার মনে করেন দুই দল সমানে সমান।
“যখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ, তখন ফেভারিট তত্ত্ব মূলত গণমাধ্যমের বিষয়। খেলোয়াড়দের প্রতিপক্ষের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আছে। কেননা, আমরা একসঙ্গে ক্লাবে খেলি।”
“কে ফেভারিট, এটা বলা কঠিন। সবসময়ই ভারসাম্য থাকে দুই দলে এবং বিশেষ করে, এটা যেহেতু ফাইনাল, সেহেতু আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। যদিও খেলা ব্রাজিলে, কিন্তু আমি মনে করি না, এখানে কেউ ফেভারিট।”