আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন। চুনারুঘাট-মাধবপুরের ১৭৭টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ব্যারিস্টার সুমন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ৬৯ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়েছেন। ব্যারিস্টার সুমন ৯৯ হাজার ১৩৯ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
এ আসনে চরমভাবে ডরাডুবি হয়েছে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সোস্যাল মিডিয়ার আইকন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় নানা সামাজিক কাজ করে আলোচনায় আসেন। চুনারুঘাটে ৪৯টি ব্রিজ করে সবার নজর কাড়েন তিনি।
তিনি চুনারুঘাট ও মাধবপুরের সাধারণ মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতেন। ঘর তৈরি করে এবং আর্থিক সহযোগিতার কারণেই তিনি মানুষের মন জয়ে করে দেন। পাশাপাশি তিনি দুই উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার আমের চারা বিতরণ করেন।
এর বাইরে তিনি ফুটবল নিয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন।
ফুটবল একাডেমি করে খেলোয়ার তৈরি করে আলোচনায় আসেন। ব্যারিস্টার সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হন। এ বিজয়ের ফলে চুনারুঘাট-মাধবপুরে ৪৩ বছর পর নৌকা পরাজিত হলো।
আজ রবিবার রাতে প্রতিক্রিয়ায় তিনি চুনারুঘাট মাধবপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আমি এত সম্মানি ছিলাম না, আপনারা আমাকে সম্মানী বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সম্মানের প্রতিদান দেওয়া চেষ্টা করব।
’
এর আগে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন। ২০০৮, ২০০১, ১৯৯৬, ১৯৮৮, ১৯৮৬ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এ আসনে সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তাফা শহীদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।
বিমান প্রতিমন্ত্রীর পরাজয়ের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলের সাথে তার যোগযোগ না থাকাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি