খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ
  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২
বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি

ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা দ্বিতীয় হার খুলনার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গাজি গ্রুপ চট্টগ্রামের দাপট চলছেই। প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারানোর পর শনিবার জেমকন খুলনাকেও ৯ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।

মাত্র ৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই খুলনার বোলারদের চাপের মধ্যে রাখেন লিটন-সৌম্য। চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম ওভারে ৪টি বাউন্ডারিও হাঁকান লিটন। এরপর পাওয়ার প্লে’তে ৩৯ রান স্কোরবোর্ডে তোলে এই জুটি।

৬ ওভার শেষ হওয়ার পর আরও হাত খুলে খেলতে শুরু করেন লিটন-সৌম্য। ৮ ওভারের মাথায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৫টি পরিবর্তন নিয়ে এলেও তাতেও কাজ হছিলো না খুলনার। তবে ১১তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে ২৬ রান করে উইকেট ছুঁড়ে দেন সৌম্য।

সঙ্গীকে হারালেও দেখেশুনে খেলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। শেষ পর্যন্ত লিটন-মুমিনুলের ব্যাটে ভর করে ৩৮ বল বাকি থাকতে জয় তুল নেয় চট্টগ্রাম। লিটন অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। মুমিনুল করেন ৫ রান।

তারকা সম্পন্ন দল সাজিয়েও নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারছে না জেমকন খুলনা। টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে দলটির টপ অর্ডার। প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে ৪ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শনিবার চট্টগ্রামের বিপক্ষে উপরের সারির ৫ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৫৭ রানে।

প্রথম দুই ম্যাচে খুলনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেও এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে আরিফুল-শামিম জুটি। ফলে চট্টগ্রামের বোলারদের দাপটে মাত্র ৮৬ রানেই অল আউট হয়েছে খুলনা। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকাকে ৮৮ রানে অল আউট করেছিল চট্টগ্রাম। দুর্দান্ত বোলিং করে ৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এই ম্যাচে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে সঙ্গী এনামুল হক বিজয়কে তিনিই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন।

নাহিদুলের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সাকিবের কল শুনতে না পেরে ক্রিজের ওপর পাশে চলে আসেন এই ব্যাটসম্যান। ফলে ৬ রানে ফেরেন তিনি। খানিক পর এই স্পিনারের বলেই ৩ রানে বিদায় নেন সাকিব। ক্রিজে নামা মাহমুদউল্লাহ ১ রানে ফেরেন নাহিদুলের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরে।

ইমরুল কায়েস এবং জহুরুল ইসলাম মিলে খানিকটা হাল ধরলেও তাইজুলের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন অমি। ১৪ রানে তিনি বিদায় নিলে ১০ম ওভারে ২১ রানে ক্যাচ আউট হন ইমরুল। এরপর দলীয় ৭৩ রনে ১১ রান কর শামিমকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ।

সেখান থেকে খুলনার ব্যাটসম্যানদের আর সামনে আগাতে দেননি এই পেসার। শহিদুল ইসলামের রান আউট ছাড়া বাকি সবকটি উইকেটই গেছে মুস্তাফিজের খাতায়। মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন ইমরুল কায়েস।

খুলনা গেজেট/এএমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!