আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ দল। নাঈম-বিজয়-সাকিবের পর এবার সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ। রাশীদের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন উইকেট কিপার ব্যাটার মুশফিক। এতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। রশীদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ ।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুবাইয়ের শারজাহ স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলপতি সাকিব আল হাসান। এই আসর দিয়েই নিজেদের নতুন করে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে টাইগাররা।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে এসেছিলেন মুজিব উর রহমান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে দিয়েছিলেন নাঈম, স্ট্রাইক ফিরে পান শেষ বলে। সেটিতেই ফিরতে হলো তাঁকে। মুজিবের বল থেমে থেমে আসছিল, ভেতরের দিকে ঢোকা বলটিতে ব্যাট চালিয়ে নাগাল পাননি তিনি। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে বি-শা-ল ফাঁক রেখে খেলতে গিয়ে মিস করে হয়েছেন বোল্ড। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে রান ৭।
নীচু হয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন এনামুল হক, আম্পায়ার আসিফ ইয়াকুব অবশ্য আউট দেননি। মুজিব উৎসাহী ছিলেন শুরু থেকেই, তবে নবী রিভিউ নেন একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে। সফলও হলো আফগানিস্তান। বল ব্যাটে লাগেনি, বল ট্র্যাকিংয়ে দেখিয়েছে তিন লাল। মুজিবের ২ ওভারে ফিরলেন দুই ওপেনার, এনামুল ফিরলেন ১৪ বলে মাত্র ৫ রান করে।
নভিন উল হকের আগের ওভারে পরপর দুই বলে দুই চার মেরেছিলেন সাকিব। তবে পরের ওভারে মুজিবকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন তিনি। লাইন মিস করে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও, হারিয়েছেন স্টাম্প। তৃতীয় ওভার করতে এসে তৃতীয় উইকেট মুজিবের, চাপে বাংলাদেশ।
সোজা হওয়া বলটি পেছনে গিয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন আফিফ। আম্পায়ারের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন, তবে কাজে আসেনি সেটি। আফিফ ফিরে গেলেন ১৫ বলে ১২ রান করে। দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় উইকেট নিলেন রশিদ। শারজায় বাংলাদেশের দুর্দশা বাড়ল আরেকটু।
মাহমুদউল্লাহ স্লগ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন। মিডউইকেটে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৭ বলে ২৫ রান করেছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটিতে উঠেছে ৩১ বলে ৩৬ রান।
এ ওভারেই স্টাম্পিং থেকে সূক্ষ্ণ ব্যবধানে বেঁচে গেছেন মোসাদ্দেক।
রশিদের শেষ বলে বাউন্ডারি পেয়েছেন মোসাদ্দেক। আফগান লেগ স্পিনার বোলিং শেষ করলেন ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। ফলে রশিদ ও মুজিব—৮ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট।
বাংলাদেশের একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদী হাসান, মো. সাইফ উদ্দিন, মো. নাঈম শেখ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
আফগানিস্তানের একাদশ: হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিদ জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল-হক, মুজিব উর রহমান ও ফজলহক ফারুকি।