অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা। রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, বাস ভাঙচুর
ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে আগারগাঁও ও মিরপুর ১০ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে চালকরা। এ সময় মিরপুর ১০ নম্বরে বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁও ও মিরপুর ১০ নম্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। পরে মিরপুর-১ নম্বরের সনি সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে চার ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ বাস চলাচল শুরুর অনুমতি দিলে বিক্ষুব্ধ অটোরিকশা চালকরা বাস ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আড়াইটার দিকে দেখা যায়, পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশাচালকেরা লাঠি ও ইট দিয়ে বাস ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
এর আগে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ জানায়, ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায় ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে