খুলনা, বাংলাদেশ | ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ | ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু: আক্রান্ত ৫৪৮
  ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন ২৬ অক্টোবর, অংশ নেবেন না টানা ১৬ বছরের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

ব্যাক্তির তৈরী করা সমস্যায় চৌগাছায় শতশত কৃষকের ফসল পানির নিচেই !

চৌগাছা প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় এক রাতের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা এখনও পানির নিচেই বলে খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নিচু এলাকার বিল গুলাতে থৈথৈ করছে পানি। এ সকল বিল হতে আগে পানি বের হতাে, কিন্তু সমাজের কতিপয় ব্যক্তিরা তাদের ইছামত পানি বের হওয়া জায়গা বিভিন্ন ভাবে ভরাট করার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা আর ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রান্তিক চাষিরা। যে সকল ব্যক্তি বিল বা খালের মুখ বন্ধ করে কৃষকের অপুরানীয় ক্ষতি করছেন তাদের নিকট হতে ক্ষতি আদায়ের দাবি উঠছে সর্বমহল থেকে।

চৌগাছার বাকপাড়া বিল, ইরি ও বােরা ধান চাষের জন্য বরাবরই বিখ্যাত। বৃষ্টির পানি বের হওয়ার জন্য এই বিলের একটি ছােট্ট কালভার্ট আছে। প্রতি বছর বর্ষা হলে ওই কালভার্ট দিয়ে পানি বের হয় তা রাইসার বিল হয়ে কপােতাক্ষ নদে পড়তো। সম্প্রতি ওই কালভার্টের মুখে মাটি ফেলে বন্ধ করেছেন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যার ফলে গত রবিবার সারা রাতের বৃষ্টিতে বিল ভরে পানি উঠেছে মানুষের বসত বাড়িতে। শুধুমাত্র পল্লবী ক্লিনিকের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আর কৃষকের ক্ষতি অপুরানীয়। এই বিল ধানচাষ করা একাধিক চাষি বলেন, একজন ব্যক্তির কারনে শতশত বিঘার ধান পানির নিচে পচে গলে নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতি কৃষকের কখনও পুরান হওয়ার নেই।

চৌগাছা সদর ইউনিয়নের কড়াইতলা বিলের একই অবস্থা। স্থানীয় কৃষক শাহিনুর রহমান, লিটন হােসেন বলেন, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এখানে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তার সুবিধার জন্য কেনা জমির উপর দিয়ে একটি সড়ক তৈরী করেছেন। যার কারনে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কােন সুযােগ নেই। গত দুই দিন ৩ থেকে ৪শ বিঘা জমির সবজি ও রােপা আমন পানির নিচে। মঙ্গলবার কৃষকের আহাজারি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের লােকজন এসে সড়ক কেটে পানি বের করার ব্যবস্থা করেছেন।

এ দিকে উপজেলার পাশাপাল ইউনিয়নের হােগল বিলে শতশত বিঘা ধান পানির নিচে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিলের পানি এ্যড়ালের খাল দিয়ে পাশের হালসার বুকভার বাওড়ে নামে। গােবিন্দপুর এলাকায় বিলের ভিতরে সরকারী জমিতে সুবিধাভােগীরা একাধিক ভেড়ি তৈরী করায় বিলের পানি ধীর গতিতে বের হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাবির হুসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে আমরা উপজেলার কড়াইতলা মাঠে যেয়ে সড়ক কেটে পানি বের করার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি ওই মাঠের সব ধরনের ফসলের ক্ষতি তুলনা মুলক কম হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!