খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের
নড়াইলে সাব-কন্ট্রাক্টরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি চেয়ারম্যানের

‘ব্যবসা করতে হলে আমাকে চাঁদা দিতে হবে’

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিমায়েত হোসেন ফারুক ও তার বডিগার্ড সোহেল মোল্যার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন সাব-কন্ট্রাক্টর মোল্যা রুহুল আমিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম। মোল্যা রুহুল আমিন সদর উপজেলার মধুরগাতী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান মোল্যার ছেলে। তিনি পেশায় সাব-কন্ট্রাক্টর।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) সাব-কন্ট্রাক্টর মোল্যা রুহুল আমিন নওয়াপাড়া অফিস শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইল সদর থানাধীন মধুরগাতী নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিমায়েত হোসেন ফারুক ও তার বডিগার্ড সোহেল মোল্যা পথিমধ্যে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। এ সময় মোটরসাইকেল থামালে হিমায়েত হোসেন ফারুক তাকে বলে, ‘তুইতো অনেক টাকার মালিক হয়েছিস, আগে তো কিছু টাকা পয়সা দিতি, এখন তো কাজকাম ঠিকই করতেছিস কিন্তু টাকা পয়সা দিস না কেন।’ তিনিও আরও বলে যে, ‘এলাকায় থাকতে হলে ও ব্যবসা করতে হলে আমাকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।’ তখন তার বডিগার্ড সোহেল মোল্যা সাব-কন্ট্রাক্টর মোল্যা রুহুল আমিনে মুখের উপর ধারালো চাইনিজ কুড়াল ধরে বলে যে, চেয়ারম্যান সাহেব যা বলেছে তোকে তাই করতে হবে।’ এ কথা বলে তার কাছে থাকা ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাকি টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে, না হলে বিপদ আছে এই বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে এ ঘটনায় বুধবার নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রুহুল আমিন।

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিমায়েত হোসেন ফারুক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, তার বিরুদ্ধে যে মামলাটা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিমায়েত হোসেন ফারুক ও তার বডিগার্ডের নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/জেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!