ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেছেন, নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে গুন্ডা ও টোকাইদের হাতে আজ আমরা অবরুদ্ধ। মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে তারা এমন অভিযোগ করে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সকালে বিনা উস্কানিতে ব্যবসায়ীরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাড়াটে গুন্ডা টোকাইদের একত্রিত করেছে নিউ মার্কেট এলাকায়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের ক্যাম্পাসে হামলা করে। তাদের দেশীয় অস্ত্র ইটপাটকেলের আঘাতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের এরকম নিরব ভূমিকা দেখে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আমাদের কলেজের শিক্ষকদের একটি দল নিউমার্কেট এলাকায় আসেন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আমাদের শিক্ষকদের কোন কথা না শুনে তাদের উপরে বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ করতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীদের এ হামলার ঘটনায় পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে মদদ রয়েছে পুলিশের। পুলিশ গতকাল আমাদের উপর গুলি ছুড়ে। এরপর তারা আজ সকালে ব্যবসায়ীদের পিছনে দাঁড়িয়ে আমাদের উপরে হামলার ঘটনা দেখেছে।
এ ঘটনায় আমাদের একাধিক নারী শিক্ষক প্রাণে বাঁচতে গিয়ে দৌড় দেন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর বাধ্য হয়ে আমাদের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের ভিতরে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের শিক্ষকরা যাওয়ার পর মুমূর্ষু একটি রোগী নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিউ মার্কেট এলাকা দিয়ে যেতে চায়। মুমূর্ষু রোগী হওয়ায় আমরা এম্বুলেন্স টিকে যেতে দেই। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ই চন্দ্রিমা মার্কেট এর সামনে ব্যবসায়ীরা অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে। এবং ভয়াবহভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে। এতেই বুঝা যায় এরা কত হিংস্র ও বর্বর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের একমুখী উসকানিতে আজকের সকালে এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যবসায়ীদের একগুঁয়েমি ও হিংস্র আচরণের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ঢাকা কলেজ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ব্যবসায়ীরা কিছুক্ষণ পরপরই কাচের বোতল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে।
ব্যবসায়ীদের মারমুখী আচরণের কারণে এবং নিজেদের জীবন বাঁচাতে শিক্ষকরা এখন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তাদের কলেজের ভেতরে প্রবেশ করেছেন।
ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিউ মাকের্ট ইটের কারণে প্রবেশই করতে পারিনি।