যেখানেই যাচ্ছি—
বিস্ফারিত চোখে সর্বত্র গৃহযুদ্ধ দেখছি:
মেহগনির ডালে দোয়েল আর কাকের বিবাদ,
আকাশে সূর্যের প্রখর কিরণের প্রতিবাদে মেঘেদের দীর্ঘ মিছিল,
রূপসার জলে রুই আর ইলিশের মহাদ্বন্দ্ব;
এমনকি আমার শরীরের মাঝেও হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কের তুমুল সংঘাত!
কিন্তু এসবের মাঝেও তুমি কী করে আমার কাছে প্রেম প্রার্থনা করো?
তোমার মনে কি কোনো দোলাচলের অস্তিত্ব লেশমাত্রও নেই?
আর আমাকে যে তুমি এত ভালভাবে চেনো বলে দাবি করছো;
কিন্তু আসলে একজন মানুষকে কত দূর চেনা যায়—আছে কি তার কোনো নির্দিষ্ট ইয়ত্তা?
বিষণ্ণ বিকেলের পশ্চাদপসরণতা গোধূলির কমলায় হারালেও
কখনোই ফিরে যাব না আমি তোমার ওই প্রলোভনের আঙিনায়;
অন্ধগলির মাথায় গিয়ে অন্ধকার নেমে এলেও
কোনো রদবদল আসবে না আমার ভঙ্গিমায়!
আমি আজন্ম এক নিশাচর বোহেমিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।
আমি আজন্ম চেয়েছি নৈঃশব্দ্যে নৈঃসঙ্গ্যকে চুম্বন করতে।
কারণ ভালো লাগা সাময়িক আর ভালোবাসা জীবনব্যাপী হলেও
কবিতা হলো বাস্তবতা!
তাই এই কবিতাকে রেখে যদি আমি ছুঁতে যাই তোমার কোমর;
সহসা ফাঁস হয়ে যেতেই পারে সব তোমার গোমর!
বলো তাহলে, কেন তুমি হবে না একটি পুরনো আন্তঃনগর ট্রেনের
ইএমডি ইঞ্জিনের মতো গতিশীল আমায় ছেড়ে যেতে হুইসেল বাজিয়ে বাজিয়ে?
খুলনা গেজেট/ এএজে