বোরো ভরা মৌসুমে বিদেশ থেকে চাল আমদানী করা হলে চাষী লোকসানের মুখে পড়বে। এবারের বোরো উৎপাদনে কৃষি শ্রমিকের মুজুরি বৃদ্ধি, সার ও বীজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে চাষীকে বাঁচাতে চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
গতকাল ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তর শৈলমারী গ্রামে নাগরিক ঐক্য’র এক কর্মীসভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি তোলেন। কর্মীসভায় উল্লেখ করা হয়, দাবদাহের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গত ১৫ বছরে ১৪ বার মূল্য বেড়েছে। শুধু ফেব্রুয়ারীতেই ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ বিল মাসিক দেড় হাজার। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর পরামর্শে বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তে জনগণ হয়রানী হচ্ছে। বক্তারা বিদ্যুতের মূল্য কমানো ও লোডশেডিং বন্ধের দাবি করেন।
খুলনা সদর থানা শাখার দপ্তর সম্পাদক কাজী আমিনুর রহমান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তৃতা করেন, নগর নাগরিক ঐক্য’র সদস্য সদস্য সচিব কাজী মোতাহার রহমান বাবু, সোনাডাঙ্গা থানা শাখার সদস্য সচিব শেখ মাহমুদুল হাসান, সদর থানা শাখার সদস্য মো. আনিসুদ্দিন গাজী ও যুব ঐক্য’র আসাদুজ্জামান মোড়ল। সভায় দলের নীতি-আদর্শের সাথে একমত পোষন করে মো. রজব আলী গাজী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে নাগরিক ঐক্যে যোগদান করেছেন।
-খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এএজে