বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী হিন্দুদের ওপর আঘাতে বিশ্বাস করে না। যেকোনো অন্যায় হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমানসহ সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। আমি এই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার এমপি ছিলাম। আমাকে হিন্দুরাও অনেক ভোট দিয়েছিল, তারা আমাদের বিশ্বাস করে। আমাদের ওপর তাদের পুরোপুরি আস্থা আছে। এটা আমাদের আদর্শিক দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী এই আদর্শিক দায়িত্ব থেকেই সারাদেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসানালয় ও বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জোবায়েদ আলী অডিটোরিয়ামে কালিবাড়ি মঠ এর উদ্যোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও যদি আপনারা আপনাদের নিরাপত্তায় জামায়াতকে প্রয়োজন মনে করেন, যেকোনো সময়েই আমাদেরকে ফোন করবেন, আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে অর্থবহ, স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিতে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এজন্য সরকারকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। উপদেষ্টাদের কর্মতৎপরতায় গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের সততা ও দেশপ্রেমের পরিচয় ফুটে উঠবে।
তিনি গণহত্যার নির্দেশদাতা, মদদদাতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সশস্ত্র খুনি ক্যাডারদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।
কালিবাড়ি মঠ এর সহ-সভাপতি এডভোকেট অশোক কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে পরিতোষ কুমার এর পরিচালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপজেলা পুজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি মিলন কান্তি মল্লিক, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরদার, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বাবু কৃষ্ণ নন্দি, নিত্যানন্দ মন্ডল, বাবু অরুন কুমার গোলদার, ডা. হরিদাস, অশোক আচার্য্য, অরুন কুমার, তাপস দাস, অরুন মন্ডল, পরিতোষ কুমার বালা, মৃনাল ঋষি, অমূল্য মাস্টার, রঞ্জন কুমার মন্ডল প্রমুখ।
এর আগে সকাল পৌণে ১০ টায় ফুলতলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে অমুসলিম ভাই-বোনদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন। এদিন সকাল ৯ টায় খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনিবাসীর উদ্যোগে শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা, সকাল ১০ টায় ফুলতলা উপজেলাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরের পথসভা, সকাল ১১টায় জামিরা মসজিদ চত্বরের পথসভা, দুপুর ১২টায় মিকশিমিল বাজারের পথসভা, দুপুর ২টায় চুকনগর বাসস্ট্যান্ডের পথসভা, বিকাল সাড়ে ৩টায় বানিয়াখালী বাজারের পথসভা, বিকেল সাড়ে ৫টায় ডুমুরিয়া বাস্ট্যান্ডের মোল্লা সিরাজ চত্বরের পথসভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম