১.
সন্ধ্যা;-গোধূলি বেলা, বৈশাখী হাওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির ছোঁয়ায়
-জুড়ায় দেহ-মন!!
বৃক্ষের ডালে বাঁশঝাড় উপবনে, ঝোপের আড়ালে, কতো-
পাখিরা বাসা বাঁধে, বসে বসে করে যে; কতো কুঞ্জন!
সবুজ ফসলের মাঠে, পাকা-ধানে বারবার দোলা দেয় মন!
কৃষানের অধরে ফোটে হাসি, আনন্দে ভরে দু’নয়ন!!
বাংলা নববর্ষে মহুয়া বনে, নদীতরঙ্গে নতুন স্বপ্নবিলাস,-
ফুলের সুরভিতে, ভালোবাসায় কতো হৃদয়-বন্ধন!
বসন্ত-বিদায়ে নবজীবনের অভিনব-স্পন্দন, বাংলার বর্ষবরণ।
সুফসলের মাঠে, অনাবিল সুখ, নবান্নের হাসি, ভালোবাসা
অগণন। গোলাভরা পাট-ধান, সোনালি হৃদয়, শান্তমন!!
-রাত্রির নৈঃশব্দে মেঘলা আকাশে; চাঁদের স্নিগ্ধ হাসি,
মিটিমিটি জ্যোৎস্নাতারা, কভু, দূরাকাশে অন্ধকার-
-ভেদ করি; বিদ্যুৎ চমক, নতুন ঝলক!! রজনী প্রহরে-
ঝিরি ঝিরি বর্ষণ। শীতল অনুভবে বাসনা উন্মন।
২.
বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে, নদ-নদী অথৈ পানিতে ভরে, প্রকৃতি
বিরূপ, রুদ্র আবেশে, শ্যামল ভুবন।
পদ্মা, মেঘনার উত্তাল ঢেউ, রূপসী বাংলার-সুন্দর
আকর্ষণ, রূপালী ইলিশের ঝাঁক, অভিনব সুন্দর,
মৎস্য প্রজনন!!
বৈশাখে বৃক্ষলতা,-তৃণলতা নতুন পত্র-পল্লবে সবুজের
সমারোহ; মাটির মায়ায় প্রকৃতি প্রেম উন্মোচন।
ভালোবাসার সমুদ্রে,-সৌন্দর্যে গড়ি মাটির স্নেহের
-মায়ায় সুদৃঢ় বন্ধন!!