খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী : রায় কবে জানা যাবে আজ
চলছে উদ্ধারকাজ, গৃহবন্দি বন্দর কর্মকর্তারা

বৈরুত বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশীসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকার একটি রাসায়নিক পদার্থের গুদামে গত মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের স্বার্থে ওই কর্মকর্তাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে, বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

লেবাননের তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের জুন থেকে বৈরুতের ওই অয়্যারহাউসে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ করা থেকে শুরু করে সেগুলোর তত্ত্বাবধান করা, পাহারা দেয়াসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলির সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারি সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের সবাইকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বৈরুতের গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে বৈরুত বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশীসহ অন্তত ১৩৫ জন নিহত এবং চার হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর লেবাননে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জানান, বৈরুত বন্দর এলাকার একটি অয়্যারহাউসে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক পদার্থ অনিরাপদভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।

লেবাননের কাস্টমসপ্রধান বাদ্রি দাহের জানান, তাঁর সংস্থার পক্ষ থেকে অয়্যারহাউসের রাসায়নিক পদার্থ সরিয়ে নিতে বলার পরও তা সরানো হয়নি।

বলার পরও কেন সরানো হলো না, সে বিষয়ে বাদ্রি দাহের বলেন, ‘এর কারণ জানার দায়িত্ব আমরা বিশেষজ্ঞদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছি।’

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাধারণত সার ও বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বৈরুতের বিস্ফোরণের মাত্রা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ১০ ভাগের একভাগ। তবে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের হিসাব বাদ দিলে, বৈরুতের বিস্ফোরণকে ‘মানব ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ বিস্ফোরণকাণ্ড’ বলছেন শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈরুত বন্দরে একটি বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।

বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান অবুদ জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়, খাদ্য এবং পানি সরবরাহে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি তিন থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বা তার বেশিও হতে পারে।’

বিস্ফোরণের পর লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে লেবাননের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ। বৈঠক শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং ১০ হাজার কোটি লেবাননি পাউন্ড সাহায্য হিসেবে বরাদ্দ দেন।

লেবাননের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদ বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!