বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ সৃষ্টির কারণে মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। যার কারণে গত দু’দিন ধরে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকুল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
অপরদিকে হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমের কিছুটা হলেও সস্ত্বি এসেছে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপ সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার ও বুধবার সুন্দরবন উপকুল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দুইদিন ধরে এ অঞ্চলের উপরদিয়ে বয়ে যাচ্ছে বৈরী আবহাওয়া, যার ফলে মোংলা বন্দরে থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
মুষলধারে বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিপাকে পরেছে শহরের চলাচলকারীরা। বৈরী আবহাওয়া আর বৃষ্টির কারণে নিম্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। লঘুচাপের ফলে সাগর প্রচন্ড উত্তল, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও সাগরে জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরতে পারছে না। এ ছাড়া সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় সাগর থেকে আহরিত মাছ নিয়েও বাজারগুলোতে উঠে আসতে পারছেনা জেলেরা। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত সার, ক্লিংকার, পাথর, গ্যাস, ফ্লাই আ্যাশসহ মোট ১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় এখানে অবস্থান করছে। লঘুচাপের কারণে বন্দরের পন্য খালাস-বোঝাইয়ে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলেও সারবাহী জাহাজের পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ছোট ছোট নৌযান দেশের অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার জন্যও কোন সমস্যা হচ্ছে না। তবে বৃষ্টির মধ্যেও বন্দরের জেটি এলাকায় কার্যক্রম রয়েছে স্বাভাবিক।
খুলনা গেজেট/এনএম