খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

বেড়েছে পণ্যের দাম, নিম্ন-মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ

জীবননগর প্রতিনিধি

পণ্যবাহী ট্রাক বা পিক আপকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীবননগর কাঁচা বাজারে। রবিবার (২৭ জুন) পৌর শহরে কয়েকটি কাঁচা বাজারে এর বাস্তব চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষকে।

জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ী আনার হোসেন জানান, গত দুইদিন ধরে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে ক্রেতা সমাগম বেশী। কাঁচাবাজারের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

খুচরা বাজারে বেগুন এখন প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কাঁচা মরিচ ১০০টাকা,পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা, কঁচুরমুখী ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ একসপ্তাহ আগে বেগুন ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাকরল ৪৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাইকারি বাজারেও সব জিনিসের মূল্য বেড়েছে। তাছাড়া ওই বাজার থেকে চড়া মূল্যে তাকে মাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, পাইকারি বাজারে আগের মতো কাঁচামাল আসছেনা। লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকট থাকায় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন। এটা জানতে পেরে জীবননগর শহরের অধিকাংশ ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মালামাল ক্রয় করতে। ফলে বাজারে কিছুটা সংকট আছে।

ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা আমির হোসেন জানান, অন্যদিন বিক্রি করতে তার দুপুর গড়িয়ে যেত। সামনে কঠোর লকডাউনের খবরে ক্রেতারা অগ্রীম মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

ক্রেতা উজ্জ্বল হোসেন জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে সব মালামাল বিক্রি শেষ। তাছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মালের যোগান কম থাকায় সব জিনিসের দাম বেশী।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!