খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মিয়া ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে খুলনার রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি এম এ বারি, শামসুর রহমান মানি, এম এমদাদুল হক সহ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে রাজনীতি করেছেন। তবুও কখনও পিছপা হননি। তাদের ত্যাগ তীতিক্ষার ফলে খুলনার আওয়ামী লীগ আজ শক্তিশালী। তারা নিজেদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করেননি।
তিনি আরও বলেন, বেলায়েত হোসেন বাচ্চু অত্যন্ত সরল মনের মানুষ ছিলেন। তিনি কখনও পদের জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি খুলনা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে গতিশীল ও উজ্জীবিত করার জন্য সারাজীবন পরিশ্রম করেছেন। তাঁর মত মুজিব আদর্শের নেতাদের ত্যাগকে সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মিয়ার ২৫তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলার সভাপতি বিএম জাফর, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মিয়ার মেয়ে নূরিনা রহমান বিউটি।
স্মরণ সভা শেষে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. আব্দুর রহীম।