বিশ্বকাপের ফেভারিটের তালিকায় ‘শনির দৃষ্টি’ লেগেছে। আর্জেন্টিনা, জার্মানি অপ্রত্যাশিত হারের স্বাদ পেয়েছে। ডেনিসরা এখনও স্বরূপে ফেরেনি। কানাডার বিপক্ষে জিতলেও ফেবারিট তকমা নিয়ে কাতারে পা দেয়া বেলজিয়াম সেরা ছন্দে ছিল না। আশা করা হচ্ছিল মরক্কোর বিপক্ষে হয়ত নিজেদের ফিরে পাবে তারা। কিন্তু কিসের কি, উল্টো আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে হেরে বসেছে ডি ব্রুইনারা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। মরক্কো অবশ্য প্রথমার্ধে গোল করে উদযাপন শুরু করেছিল। কিন্তু হাকিম জায়েখের ফ্রি কিক থেকে করা গোল অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয়ে যায়। তার নেয়া শটে থিবো কর্তোয়া বোকা বনলেও অফসাইড থেকে হেডে গোল করার চেষ্টা করায় গোলটি বাতিল হয়।
কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা মরক্কো দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায়। গোলের লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট নিয়ে প্রথম গোলের দেখা পায় ফ্রান্সের প্রতিবেশি দেশটি। জালে বল জড়িয়ে দেন ইতালির ক্লাব সাম্পাদোরিয়ায় খেলা মিডফিল্ডার আব্দেল হামিদ সাবেরি। তার গোলটি চলতি আসরে ফ্রি কিক থেকে সরাসরি করা প্রথম গোল।
এরপর যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোল করে মরক্কো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপে দেশকে প্রথম জয়ের উল্লাসে ভাসান আবুখালাল। তার গোলটি আসে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। ম্যাচে ৩৩ শতাংশ বল পায়ে নিয়েও গোলে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেয়ার বিচারে সেরা দল হিসেবেই জিতেছে মরক্কো। কেভিন ডি ব্রুইনারা ৬৬ শতাংশ বল পায়ে রেখে গোলে মাত্র তিনটি শট নিতে পারে। যা মুনির মোহামেদি ফিরিয়ে দেন। অন্যদিকে মরক্কো লক্ষ্যে চারটি ও বাইরে শট নিয়েছে ছয়টি।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম কখনো আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে হারেনি। হারেনি প্রথম রাউন্ডে খেলা নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচেই। কিন্তু মরক্কোর কাছে হারে বিশ্বকাপে নিজেদের ৫০তম ম্যাচটিতে ভেঙে গেল অপরাজেয় ধারা।
হারলেও এখনো দ্বিতীয় রাউন্ডের ওঠার পথ খোলা আছে বেলজিয়ামের। প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারানোর সুবাদে দলটির পয়েন্ট ৩। আর ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করা মরক্কোর পয়েন্ট এখন ৪।