বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থ ও হিসাব দপ্তরের ৪র্থ গ্রেডের অতিরিক্ত পরিচালকের একটি শূন্য পদে নিয়োগে বাছাই বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট-১২ শাখার উপসচিব ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল।
তবে শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের ৪র্থ গ্রেডের অতিরিক্ত পরিচালক ও ৯ম গ্রেডের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা ও বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে এক লিখিত বার্তা পাঠিয়ে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত ৮ জুন ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় কর্মকর্তাদের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। যেখানে আবেদনের শেষ সময় হিসেবে ২৫ জুনের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র তিন কার্যদিবস (২৩-২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা ছিল। পরে বুধবার (২৬ জুন) তারিখে আবেদন যাচাই শেষে শুক্রবার এই বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত পরিচালক পদে একটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন মাত্র দুজন। আর হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে একটি পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখাসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বৃহস্পতিবার সারা দিন চেষ্টা করেও নিয়োগ বাছাই বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট-১২ শাখার উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ইউজিসির নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে গত ৩১ মে তারিখেও অনুষ্ঠিত ৫ম গ্রেডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের ৩১ জন কর্মকর্তাকে ৪র্থ গ্রেডের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য অনুষ্ঠিত বাছাই বোর্ডে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইফতেখার।
ফলে ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা পদের নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকার যৌক্তিকতা কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট-১২ শাখার উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাছাই বোর্ড উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করে এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে কল কেটে দেন।
এ ছাড়াও, বিষয়টি নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও অপর সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মজিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
খুলনা গেজেট/এএজে