খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫, আহত ১০
  মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি হবে দিনে ১০ ঘণ্টা

বেনাপোল প্রতিনিধি

আলোচনা ছাড়াই বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ করেছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে দিনে সব মিলিয়ে ১০ ঘণ্টা চলবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগে থেকে কোন তথ্য জানায়নি পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকরা বলছেন, এতে আবারও পেট্রাপোল বন্দরে পন্যজটের সৃষ্টি হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ই জুলাই) সন্ধ্যা থেকে এই নিয়ম শুরু করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ এর আগের দিন ও রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলেছে দুই দেশের মধ্যে।

বেনাপোল বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্ধের কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে পেট্রাপোল পোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন উত্তর আসেনি সীমান্তের ওপার থেকে।

বন্দর সূত্র জানায়, বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বেনাপোল ও পেট্রাপোলের মধ্যে শুরু হয় ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্য পরিসেবা। এর আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

২৪-ঘণ্টা পণ্য পরিবহনের সুযোগে রাত-দিন, এমনকি জরুরি মুহূর্তে শুক্রবারও আমদানি- রপ্তানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম চলত। এতে দৈনিক আমদানির পরিমাণ ৩০০ ট্রাক থেকে বেড়ে ৫০০ ট্রাক পর্যন্ত হয়। বছরে রাজস্ব আয় ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পন্য, শিল্পকলকারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ছে দুই পারের বন্দরে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তারা স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি। বর্তমানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। আমরা পুনরায় ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্য সেবা বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সংগে বসার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিস্তারিত জানাবেন বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!