বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৪৮.২৭ কোটি টাকা। ফলে এবছর রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১ হাজার ৯৫১.৭৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান।
এদিকে গত ২০১৯-২০২০ বছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫৬৩.৫৯ কোটি টাকা। তার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৬৩৫.৭৭ কোটি টাকা এবং সে বছর রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৯২৭.৮২ কোটি টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫১২.৫০ কোটি টাকা।
সুলতান মাহমুদ বিপুল নামে এক আমদানিকারক জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কালিতলা পার্কিং বাণিজ্যের কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছিল। তবে বর্তমানে বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরে মধ্যে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও ব্যাপক হারে আমদানি বেড়েছে। ইতিমধ্যে এ বন্দরে রেলপথের অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু হয়েছে। এ কাজ সম্পূর্ন হলে এ বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি আরও বাড়বে এবং এ বন্দরের রাজস্ব দ্বিগুণ আদায় হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, দেশের স্থলপথে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্যের বেশিরভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে বর্তমানে করোনার কারনে উচ্চ শুল্ক হারের পন্য আমদানি কমে গেছে। পাশাপাশি চাহিদা অনুপাতে বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে দ্বিগুন পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, এবছর বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ৪ হাজার ১৪৮.২৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫১২.৫০ কোটি টাকা। এছাড়া দেশে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনার প্রভাব চলছে। দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক মাস বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো। দেশে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে পূনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি সচল করা হয়।
তিনি আরও জানান, করোনার মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও উচ্চ শুল্কহারের পণ্য কম এসেছে। তবে তারা ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে কাজ করছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এরই মধ্যে বন্দর কর্তৃপকে চিঠি দেওয়া হয়েছে । বন্দরের সমতা বাড়লে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই