জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এবার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ৫ হাজার ৯৬৬কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ৮০৮ কোটি টাকা। তবে সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দর ও কাস্টমসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে চলতি বছরেও লক্ষ্যপূরনে ঝুঁকি থাকবে বলে মত বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টদের।
প্রতি অর্থ বছর শুরুতে দেশের সব কটি বন্দরে আমদানি পণ্যের উপর সম্ভাব্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। তবে সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দর ও কাস্টমসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন না হলে সামনের বছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঝুঁকি থাকবে মনে করছেন বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মো. সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরে জায়গার অভাবে পণ্য বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় দিনের পর দিন ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে। রেলে পণ্য আমদানিতেও একই অবস্থা। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক ধারণ ক্ষমতার জায়গা দরকার হলেও বন্দরটিতে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার মোট্রিক টন পণ্যের। জায়গা বাড়ানো না হলে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামছুর রহমান জানান, আমদানি বাড়াতে হলে বন্দরে জায়গা বৃদ্ধি ও দ্রুত পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। ভারি পণ্য খালাসে ব্যবহৃত অধিকাংশ ক্রেন ফরক্লিপ প্রায় সময় নষ্ট থাকে।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমসে বিএসটিআই ও বিএসআইআরের অফিস না থাকায় পণ্যের মান পরীক্ষায় জটিলতাতে অনেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, এবার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। প্রতিবছর রাজস্ব আয় বাড়ছে তবে সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এসব শেষ হবে। তখন এসব সমস্যা আর থাকবে না।
খুলনা গেজেট/এস আই