যশোরের বেনাপোল থেকে অপহৃত সুমন হত্যায় জড়িত ৩ জনকে ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ আটক করেছে যশোর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে তারা আটক করে।
ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপন কুমার সরকার বলেন, যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম ও এসআই শামীম হোসেন এর সমন্বয়ে একটি টিম ওইরাতে ঢাকায় অভিযান চালায়। এসময় তারা ঢাকা শাখারী বাজার এলাকা থেকে ৩ জনকে আটক করে। এরা হলো, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল দাসের ছেলে ও ঢাকার শাখারীবাজার এলাকার ডালিম কুমার দাস (৩৩), দেবিদার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুর দাস নিয়োগীর ছেলে ও ঢাকার শাখারী বাজারের অঞ্জন নিয়োগী (৪৯) ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে ও ঢাকার ফকিরাপুলের আবুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রিয়াজ মুন্সি (৩৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি হায়েচ মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
ডিবি ওসি জানান, গত ১১ নভেম্বর স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক যশোরের বেনাপোল থেকে টেংরালী গ্রামের ওসমান গনির ছেলে ওমর ফারুক সুমনকে (২৬) অপহরণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ১৬ নভেম্বর তার অর্ধগলিত মৃতদেহ মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নামে যশোর ডিবি পুলিশ। তারা বেনাপোলের অপহরণস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে আটক ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ২৫টি বার, যার ওজন অনুমানিক সাড়ে ৩ কেজি খোয়া যাওয়ায় চক্রের কামাল গং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহ করে। পরে তাকে অপহরণ ও আত্মসাৎকৃত স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর গ্রামে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেয়। এর ৪ দিন পর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেনাপোল পুলিশ তার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর আটক ৩ জন ডিবি পুলিশকে হত্যার এ তথ্য জানিয়েছে বলে ডিবি পুলিশ সূত্রটি জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে