জিতলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে- এমন সমীকরণের সামনে থেকে আজ আইপিএলের ১৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। শীর্ষে উঠার এই লড়াইয়ে শেষ হাসি অবশ্য হেসেছে স্রেয়াশ আইয়ারের দিল্লি। বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ৫৯ রানের বড় জয় পেয়েছে তারা।
এদিন দিল্লির দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালোর। ফলে টুর্নামেন্টে নিজেদের চতুর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিল্লি। একই সঙ্গে ৮ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে টপকে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে আইয়ারবাহিনী।
দিল্লির দারুণ এই জয়ের পেছনে মূল কলকাঠি নেড়েছেন বোলাররাই। কারণ তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারেননি বেঙ্গালোর ব্যাটসম্যানেরা। বিশেষ করে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন কাগিসো রাবাদা, অ্যানরিক নরকিয়া এবং অক্ষর প্যাটেল।
৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন প্রোটিয়া পেসার রাবাদা। তাঁর স্বদেশী নরকিয়া নেন ২২ রানে ২ উইকেট। আর বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর ২ উইকেট শিকার করতে ১৮ রান খরচ করেন।
দিল্লির অনবদ্য বোলিং আক্রমণের সামনে বেঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছাড়া আর কেউই তেমন উল্লেখযোগ্য রান করেননি। এক ছক্কা এবং ২ চারের সাহায্যে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন কোহলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন সাত নম্বরে খেলতে নামা ওয়াশিংটন সুন্দর।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে টস জিতে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বেঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে দিল্লি। ২টি ছক্কা এবং ৬টি চারের সাহায্যে মাত্র ২৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন স্টয়নিস।
ওপেনার পৃথ্বী শ এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋশভ পান্তও দুর্দান্ত খেলেছেন আজ। ২৩ বলে ৪২ রান করেছেন ২০ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান পৃথ্বী। যেখানে ২টি ছক্কা এবং ৫টি চার মেরেছেন তিনি। অপরদিকে ২৫ বলে ৩৭ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছেন পান্ত। এই ইনিংস খেলার পথে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২টি ছক্কা এবং ৩টি চার।
বেঙ্গালোর বোলারদের মধ্যে সবচাইতে সফল ছিলেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা এবং ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী।
খুলনা গেজেট/এএমআর