রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী-শিশুসহ ৪৪ জন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবনটিতে অবস্থিত পিৎজা-ইন নামে রেস্টুরেন্টে রাতে খেতে যান নুরুল আলম। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। শুনেছেন একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেইসময়ের ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা কথা।
নুরুল আলম বলেন, আমরা চিন্তা করছিলাম, কী হচ্ছে, আমরা কোথায় যাব? কারণ ওখানে অনেকগুলো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। অনেকগুলো। আমরা আগুন লাগার পরে টপ ফ্লোরে চলে যাই। সেখানে অনেকগুলো মানুষ একসঙ্গে ছিলাম।
প্রায় এক থেকে দেড়’শ লোক আমরা ওখানে জড়ো হই। আমাদের পেছনে দেখলাম অনেক ধোঁয়া উড়ছিল। অনেকেই ওপরে উঠতে পারে নাই। যে যেভাবে পেরেছে ওপরে উঠেছে। এক পর্যায়ে নুরুল আলম মনে করেছিলেন, তিনি হয়ত আর বেঁচে ফিরবেন না। তাই সম্ভাব্য মৃত্যুর আগে ক্ষমা চেয়ে নেন পরিবারের সদস্যদের কাছে।
নুরুল আলম বলেন, আগুনটা আমাদের দিকে অর্থাৎ টপ ফ্লোরের দিকে উঠে আসছিল। ওই মুহূর্তে আসলে বলাটা মুশকিল। আমরা ছটফট করছিলাম যে লাফ দিব নাকি কী করব। বাঁচব কিভাবে, আমরা মনে হয় আর বাঁচব না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে ফোন দেই। বলি যে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। আমি মনে হয় আর বাসায় ফিরতে পারব না। আমার দুইটা ছেলে আছে, ওদেরকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। তুমি ওদেরকে দেখে রেখো। পরে আমার মার সঙ্গেও কথা বললাম। মাফ চাইলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম