চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা যাত্রীদের (ব্যালটি) উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ বছর ৪ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এসব টাকা বিতরণ করা হবে। রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন ও আগামী হজ মৌসুমের পরিকল্পনা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি জানান,’ উদ্বৃত্ত টাকা থেকে প্যাকেজভেদে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যতদ্রুত সম্ভব এই টাকা হাজিদের ব্যাংক একাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে। টাকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ফোন করা কিংবা তার কাছ থেকে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নম্বর কিংবা বিকাশ/নগদ/রকেট- এর কোন পিন নম্বর চাওয়া হয়না। এমনটি যদি কেউ করে তাহলে আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখুন সে প্রতারক। এধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন।’
তিনি বলেন, আমরা এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করেছিলাম তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পেয়েছি। কোন কোন ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চূড়ান্ত করেছি। সরকারি মাধ্যমে প্রত্যেক হাজিকে আমরা প্যাকেজের উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত প্রদান করব।
উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর হাজিদেরকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ৪ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। ৫ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি। ৬ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতেও শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।
সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হাজিদেরকে ১, ২ ও ৩ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ১ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। ২ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা ফেরত পাবেন এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। ৩ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, গত ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। ৮৭ হাজার ১৪৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোট ৪৫ জন হাজযাত্রী মারা গেছেন।এ বছর হজযাত্রীদের হারানোর পরিমানও হ্রাস পেয়েছে। এ বছর ৮৯২জন হাজি হারানো গিয়েছিল এরমধ্যে ৮৯১জনকে খুজে পাওয়া গেছে। ৮২বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনো খুজে পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এএজে