খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

কাল থেকে বৃষ্টি কমবে, আবারো শুরু হবে তাপপ্রবাহ

গেজেট ডেস্ক

আসছে সপ্তাহে আবারো শুরু হতে যাচ্ছে দুঃসহ তাপপ্রবাহ। এখনকার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা খুব শিগগিরই হ্রাস পাবে। অর্থাৎ চলতি মে মাসের বাকি দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। অবশ্য জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সময়মতো পৌঁছে গেলে তখন হয়তো আবারো ঠাণ্ডার পরশ পাওয়া যাবে। অতীতে কোনো কোনো বছর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে পৌঁছাতে জুন মাসের অর্ধেকের বেশি চলে যায়।

এ দিকে আমেরিকা প্রবাসী জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিজ্ঞানী ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে এল নিনো শেষ হওয়ার পথে। এই কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সেখানে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পূর্ব দিক থেকে যে বাতাস পশ্চিম দিকে এতদিন প্রবাহিত হচ্ছিল সেটা দুর্বল হয়ে গেছে। এই দুর্বল বাতাসের প্রবাহ বর্তমানে এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে, তা বিপরীতমুখী বাতাসের কারণে উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। কিন্তু এর বাইরে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের ঊর্র্ধ্বাকাশে বয়ে যাওয়া জেট স্ট্রিম। এবার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলসহ আরো কিছু অঞ্চলে জেট স্ট্রিম অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। জেট স্ট্রিমে সাধারণত বাতাস গরম হয়ে গেলে মেরু অঞ্চলের ঠাণ্ডা বাতাস গরম বাতাসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এবার গরম বাতাস ওপরে উঠছে না এবং ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নামছে না। এই কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে। ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, এই জেট স্ট্রিমটা এবারের মতো আর কখনো থেমে বা স্থবির হয়ে থাকেনি।

আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বাংলাদেশে এর আগের দিনের (৯ মে) তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ২৩ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে আরো যে ১১ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে বেশির ভাগ স্থানে ১ থেকে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে সার্বিক তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মংলায় ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপর দিকে ৮ মে বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়, দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কারণে সারা দেশই গত এক সপ্তাহ কিছুটা ঠাণ্ডা ছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ ও ১৩ মে দেশের তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আগামী ১৫ মে পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৪.৮ ও ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুর ও রংপুর শহরে ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

খুলনা গেজেট/এইচ

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!