সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল ৪টায় টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর থেকে খুলনা শহর প্রদক্ষিণ করে বৃষ্টির মধ্যে শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচিতে খুলনার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যুক্ত হবে।
তাওহিদ বর্ষণ বলেন, সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এখন উত্তাল তাদের একটিমাত্র দাবি কোটা প্রথার বিলুপ্ত। শিক্ষার্থীদের কাজ লেখাপড়া করা জ্ঞান অর্জন করা কিন্তু অনার্য কোটা প্রথার কারণে এখন শিক্ষার্থীদের কে মাঠে নামতে হয়েছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে এটা তাদের শিক্ষাজীবনে ব্যাঘাত ঘটবে। এজন্য সরকারের উচিত দ্রুত কোটাপ্রথার উপর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের কে ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করা।
সানজিদা আক্তার বলেন, আমি নারী কিন্তু আমি কোন কোটা চায় না কারণ আমি নিজের যোগ্যতায় পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়ার প্রত্যাশা রাখি। এজন্যই আমি আমার ভাইদের পাশে থেকে আন্দোলনে অবস্থান করছি এবং যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সাদিয়া ইসলাম বলেন, আমি মনে করি আমাদের নারী কোটার কোন প্রয়োজন নেই কারণ বর্তমান সময়ে আমরা পুরুষের সাথে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। আমরা অবিলম্বে হাইকোর্টের রায়ের বাতিল চাই এবং সরকারি পরিপত্রের পুনঃ জারি চাই।
চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন পূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
খুলনা গেজেট/এএজে