দেশের প্রতি উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাইয়ের শুনানি আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ১৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পরিবর্তন করে করা হয়েছিল ৯ জানুয়ারি। এখন ৯ জানুয়ারির তারিখটিও পরিবর্তন করা হলো। বুধবার (৬ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ পরিবর্তনের তথ্য জানানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকা’র সুপারিশবিহীন শুধু বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
জামুকা’র ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এদিন সকাল ১০ টায় স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এবং মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষ্য এবং তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার।
প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে এই যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭১তম সভায় এই যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২’ এর ধারা ৭ (ঝ) এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনও বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তিনি যাচাই-বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন