একাত্তরে পাক হানাদাররা আমারে
করলো নৃশংস নির্যাতন
রক্তপিপাশু নরখাদকেরা আমারে
নির্বিচারে করলো গণধর্ষণ!
আমার স্বামী দেবর শ্বশুর
শিকলে বাঁধা ছিল সম্মুখে
আর্তচিৎকারে কেঁদেছিল তারা
কেউ দেখেও না তা দেখে!
তাদের আর্তচিৎকার রুদ্ধ করলো
ব্রাশফায়ার করে বুলেটে
বঙ্গোপসাগর লাল হয়ে গেল
ইতিহাস লেখা হলো লাল মলাটে!
নয় মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধ হলো
কতো মায়ের বুক খালি হলো
লাখো মা-বোন ইজ্জত দিল!
সেই পথ ধরে স্বাধীনতা এলো।
লাখো শহীদের জীবন ত্যাগে
রক্তিম সূর্য উদিত হলো!
বাঙালি নতুন দেশ পেল
বলো! নির্যাতিতরা বলো!
আমরা পেলাম ইজ্জতের বিনিময়ে
এ দেশের উপহার বীরাঙ্গনা!
বিজয়ের মাসে জেগে উঠে শোক
অন্তরে জাগে অর্হনিশি যন্ত্রণা।
তবু শান্তনা পায় ত্যাগের বিনিময়ে
পেয়েছি গর্ব করা স্বাধীনতা!
পেয়েছি ভাষা পেয়েছি দেশ!
কোনদিন যেনো না আসে পরাধীনতা।
আমি বিধবা বধু, বীরাঙ্গনা নয় শুধু!
স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভগ্নি নিবেদিতা
ইজ্জত বিকিয়ে পেয়েছি খেতাব!
বলে গেলাম এই স্মৃতি ব্যাথা।
লেখক : উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সিষ্টেম অপারেশন ওয়ার্কশপ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, শিরোমনি, খুলনা।
খুলনা গেজেট/এনএম