ফকিরহাটে এক গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আল আমিন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবকের বিরূদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া কাহারডাঙ্গা এলাকায় গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই এলাকার সেলিম বিশ্বাসের ছেলে আল আমিন বিশ্বাস (৩০)। ১২ বছর পূর্বে জাড়িয়া কাহারডাঙ্গা এলাকায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ওই গৃহবধূ। স্বামীর সংসার চলাকালীন সময়ে আল আমিন বিশ্বাস এর সাথে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তারা। গত ৩ মাস আগে ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয় । পরবর্তিতে আল আমিন বিশ্বাসকে বিয়ে করার কথা বললে তাতে অস্বীকার জানায়। আল আমিন বিশ্বাস শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করেছে বলে ভুক্তভোগীকে প্রায় ভয়ভীতি দিয়ে শারীরিক সর্ম্পক করতে বাধ্য করে আসছে।
গত রবিবার (১৮ অক্টোবর) ২টার দিকে আল আমিন এর নিজ ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে বিবাহ করবে বলে জানায় এবং তার সাথে দেখা করার জন্য উপজেলার কাটাখালী বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে। ওইদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কাটাখালী পৌছালে আল আমিন বিশ্বাস তাকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিজ বাড়ির পেছনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ কথা বলার পর পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এতে ওই নারী সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের এস আই রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আল আমিন বিশ্বাসকে আটক করে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ সম্পর্কে আল আমিনের চাচী হন।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ মোঃ খায়রুল আনাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রবিবার থানায় একটি র্ধষণ মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বাগেরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় (৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধ) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং-১৩।
খুলনা গেজেট/এনএম
