এ বছরের শেষদিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনে অনিশ্চিত টানা তিনবারের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অংশগ্রহণ।
বোর্ডের বহুল প্রতীক্ষিত এজিএম শেষে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছেন পাপন নিজেই। ক্রিকেট নিয়ে নিজের আবেগ-প্রবণতার কথা জানিয়ে পাপন বলেন, ‘আমার একটা খারাপ দিক হচ্ছে হারলে হারটা আমি মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, হারলে আমার বউ-বাচ্চা সামনে আসে না। ডাক্তার আমাকে বারবার বলেছে ক্রিকেট থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরে সরে যেতে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা বা পরাজয় মেনে নিতে পারেন না জানিয়ে গণমাধ্যমের সামনে পাপন বলেন, ‘আমার মত অনেকেই আছে যারা হার মেনে নিতে পারে না। ক্রিকেট আমার এত বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছে যে ধারণা আগে আমার ছিল না। মাঝখানে ১ বছর কিন্তু আমি কিছুতে ছিলাম না, ভালোই ছিলাম। আবার যখন আগের মত হলাম তখন দেখলাম এটা অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আপনারা অনেকেই কিন্তু আমাদের মত আছেন, হার মানতে পারেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে ৪-১ এ জিতলাম অনেকে ভাবছে একটা হারলাম কেন। এই হল অবস্থা, এটা আমাদের সবারই। কি করব এখন, ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় এসেছে…’
ক্রিকেটে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন বলে মনে করছেন ২০১২ সাল থেকে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করা পাপন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে অনেক সময় দিলাম। আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ভাই গেল নিউজিল্যান্ড, ববি ভাই গেলো জিম্বাবুয়ে। তারা জানেন, অবাক হয়ে গেছেন। ভোর থেকে তো খেলা দেখেছিই, তাদের ওখানে ৭ টা বাজলে ফোন দিয়েছি, ব্রেকফাস্টের আগে সবার সাথে কথা বলা, তারপর টিম নিয়ে কথা বলা। আসলে ক্রিকেট ইজ টেকিং টু মাচ টাইম।’
আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে ভিন্নতা দেখা যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আসলে এবার বোর্ড মিটিংয়ে ১ তারিখ বা ২ তারিখ যখনই হয় সেদিন একটু ধারণা পাবেন আপনারা ইলেকশন নিয়ে, এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবারের ইলেকশনটা একটু আলাদা হবে। অন্যান্যবারের মতো নাও হতে পারে। আশা করি এটা এক্সেপ্টেড হবে, যেমনটা আমি প্রপোজ করেছি।’
সাবেক সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল পদ ছাড়লে বিসিবির ১৪তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন পাপন। এরপর দুইবার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিসিবি সভাপতির পদে।
খুলনা গেজেট/কেএম