বাগেরহাটে বিসিবি মনোনীত কোচ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম।
তার দাবি, কোচ দলে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা ঘুস চেয়েছেন তার কাছে। অভিযোগের সত্যতা তদন্তে শনিবার মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। ঘুস চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোচ তাহের।
কিন্তু বিসিবিতে আসার আগে নাঈমকে ফোন করে কোচ অনুরোধ করেছিলেন ঘুসের বিষয়টি যেন চেপে যাওয়া হয়। তাদের সেই কথোপকথনের রেকর্ড প্রমাণ হিসাবে বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছেন নাঈম। বিসিবি পরিচালক ওবেদ নিজাম শুনানি শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এমন কিছু প্রমাণ হলে ছাড় দেওয়া হবে না কোচকে।’
নাঈম বলেন, ‘মিডিয়ায় কোচের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশের পর তিনি কতটা আমাকে দেখভাল করবেন, আপনারাও তা বোঝেন। জেলা দল গঠনের আগে আরও একজনের কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন কোচ। আমি ভেবেছিলাম মজা করছেন। কারণ আমার এত টাকা দেওয়ার অবস্থা নেই, সেটি সবাই জানে। আমি পারফর্ম করার পরও বাদ পড়ায় বুঝতে পারি টাকা দিতে না পারাই আসল কারণ।’
তিনি বলেন, ‘কোচ অনেকের কাছ থেকেই সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। বোর্ড থেকে কোচকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ওপেনার হিসাবে কাকে রাখা হয়েছে। কোচ বললেন, উইকেটকিপার রাখা হয়েছে। উইকেটকিপার তো ওপেনার না, চার-পাঁচে ব্যাট করে। কোচ তখন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান।’
ঢাকায় আসার পথেও বাসে এক ব্যক্তি নাঈমকে চড় মেরেছেন। সে কার লোক, বুঝতে পারেননি। গরিব বাবা-মায়ের সমর্থন না থাকার পরও স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পালিয়ে ক্রিকেট খেলেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘পরিবারের কোনো সমর্থন পাইনি। বাড়ি থেকে পালিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করি। স্বপ্ন, হয়তো জাতীয় দলে খেলব। আমার পরিশ্রম দেখে অনেকে পাগলও বলে।’ বিসিবি নাঈমকে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার জন্য বললেও দলে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেয়নি।